ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

 

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘর্ষের প্রভাবে দুয়েক সময় বাংলাদেশের জেলেদের ট্রলার কিংবা টহল বোটে গুলি এসে লেগেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মি যুদ্ধ করছে। যুদ্ধটা বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে। আমরা দেখেছি আরাকানের অনেক জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। এখন আমাদের নাফ নদীর নিচের অংশটায় যুদ্ধ চলছে।

তিনি বলেন, যখন যুদ্ধ চলছে তখন কোন সময় কার গুলি আসছে, দুই-একটা সময় আমাদের জেলেদের ট্রলার কিংবা আমাদের টহল বোটে গুলি এসে লেগেছে। কে গুলি করেছে? সেটি আমরা এখনো সুনিশ্চিত নই। তাদের (মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

মিয়ানমার অস্বীকার করেছে যে তারা গুলি করেনি, কিন্তু গুলি তো হয়েছে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ও আসছে, ওর আবেগের কথা বলে গিয়েছে। তার বাবা হত হয়েছেন, সে তার বাবার হত্যার বিচার চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। সে বলেছে—কেউ যাতে পার না পেয়ে যায়, সেই বিষয়টি দেখবেন। যেটাই আপনার তদন্তে আসবে, আমরা সেটাই বিশ্বাস করি। তদন্ত যেভাবে করছেন তাতে যাতে কেউ পার না পেয়ে যায়, সেই বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করেছেন।

এ বিষয়ে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে চাপ দেবে আমাদের, কোনো চাপ নেই। সঠিক পদ্ধতিতে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা বলতে পারব কার উদ্দেশ্য কী ছিল।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন, আমাদের কাছে এমন কিছু আসেনি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, তাকে আমরা দায়ী করতে পারি। কাগজপত্র সঠিকভাবে আসছে, এখানে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে দেখবে। তদন্ত যারা করছেন তারা যদি কিছু প্রমাণ করতে পারেন, তখন সেটা দেখা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
৩০ বার পড়া হয়েছে

সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

 

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘর্ষের প্রভাবে দুয়েক সময় বাংলাদেশের জেলেদের ট্রলার কিংবা টহল বোটে গুলি এসে লেগেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মি যুদ্ধ করছে। যুদ্ধটা বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে। আমরা দেখেছি আরাকানের অনেক জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। এখন আমাদের নাফ নদীর নিচের অংশটায় যুদ্ধ চলছে।

তিনি বলেন, যখন যুদ্ধ চলছে তখন কোন সময় কার গুলি আসছে, দুই-একটা সময় আমাদের জেলেদের ট্রলার কিংবা আমাদের টহল বোটে গুলি এসে লেগেছে। কে গুলি করেছে? সেটি আমরা এখনো সুনিশ্চিত নই। তাদের (মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।

মিয়ানমার অস্বীকার করেছে যে তারা গুলি করেনি, কিন্তু গুলি তো হয়েছে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেন্টমার্টিনে পণ্য সরবরাহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ও আসছে, ওর আবেগের কথা বলে গিয়েছে। তার বাবা হত হয়েছেন, সে তার বাবার হত্যার বিচার চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। সে বলেছে—কেউ যাতে পার না পেয়ে যায়, সেই বিষয়টি দেখবেন। যেটাই আপনার তদন্তে আসবে, আমরা সেটাই বিশ্বাস করি। তদন্ত যেভাবে করছেন তাতে যাতে কেউ পার না পেয়ে যায়, সেই বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করেছেন।

এ বিষয়ে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে চাপ দেবে আমাদের, কোনো চাপ নেই। সঠিক পদ্ধতিতে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা বলতে পারব কার উদ্দেশ্য কী ছিল।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন, আমাদের কাছে এমন কিছু আসেনি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, তাকে আমরা দায়ী করতে পারি। কাগজপত্র সঠিকভাবে আসছে, এখানে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে দেখবে। তদন্ত যারা করছেন তারা যদি কিছু প্রমাণ করতে পারেন, তখন সেটা দেখা হবে।