ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ইবি ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

স্মাট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাস’ বিনির্মাণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-রাজনীতিকে যুগোপযোগী ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে কর্মী সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

বুধবার (১০ জুলাই) রাত ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের আয়োজনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে হলের টিভি রুমে এই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মজুমদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রতন কুমার রায়, নাইমুল ইসলাম জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম ও তরিকুল ইসলাম তরুন, প্রচার সম্পাদক নাবিল আহমেদ ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী। সভায় বিভিন্ন হলের নেতারা সংগঠনের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

সভায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর ইবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ই প্রমাণ করে আমাদের ইবি শাখা ছাত্রলীগ কতটা গতিশীল। একজন কর্মীকে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে আজকের এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে যখন একজন কর্মী নিজেকে স্মার্ট কর্মী হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে তখন আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও সংবেদনশীল। অবশ্যই যৌক্তিকভাবেই কোটা সংস্কার হবে বলে আশাবাদী ইবি শাখা ছাত্রলীগ। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তাদের আন্দোলন যেন জনদুর্ভোগের কারণ না হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জন্মের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের প্রতিকূলতা, দুর্ভোগের সময়ে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসে। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের কার্যক্রম সর্বদাই প্রশংসিত। আশাকরি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায় হবে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে কোন মৌলবাদী গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না করতে পারে।

হল ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে সভাপতি বলেন, খুব দ্রুতই হল কমিটি প্রদান করার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কাজকর্মে গতিশীলতা প্রদান করা হবে। আমরা অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকয়টি হলের নেতৃবৃন্দকে পরিচয় দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করে দিবো ইনশাআল্লাহ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ইবি ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ

আপডেট সময় ১০:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

স্মাট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাস’ বিনির্মাণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-রাজনীতিকে যুগোপযোগী ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে কর্মী সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

বুধবার (১০ জুলাই) রাত ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের আয়োজনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে হলের টিভি রুমে এই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মজুমদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রতন কুমার রায়, নাইমুল ইসলাম জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ, শাহিন আলম ও তরিকুল ইসলাম তরুন, প্রচার সম্পাদক নাবিল আহমেদ ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী। সভায় বিভিন্ন হলের নেতারা সংগঠনের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

সভায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর ইবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ই প্রমাণ করে আমাদের ইবি শাখা ছাত্রলীগ কতটা গতিশীল। একজন কর্মীকে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে আজকের এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে যখন একজন কর্মী নিজেকে স্মার্ট কর্মী হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে তখন আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও সংবেদনশীল। অবশ্যই যৌক্তিকভাবেই কোটা সংস্কার হবে বলে আশাবাদী ইবি শাখা ছাত্রলীগ। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তাদের আন্দোলন যেন জনদুর্ভোগের কারণ না হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জন্মের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের প্রতিকূলতা, দুর্ভোগের সময়ে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসে। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের কার্যক্রম সর্বদাই প্রশংসিত। আশাকরি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায় হবে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে কোন মৌলবাদী গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না করতে পারে।

হল ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে সভাপতি বলেন, খুব দ্রুতই হল কমিটি প্রদান করার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কাজকর্মে গতিশীলতা প্রদান করা হবে। আমরা অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকয়টি হলের নেতৃবৃন্দকে পরিচয় দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করে দিবো ইনশাআল্লাহ।