ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায়ে তারেক রহমানসহ সবাই খালাস

নিজস্ব সংবাদ

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।

রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তিনজন দণ্ডিতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
৫৫ বার পড়া হয়েছে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায়ে তারেক রহমানসহ সবাই খালাস

আপডেট সময় ০৬:২৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।

রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তিনজন দণ্ডিতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।