ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখন গভীর নিম্নচাপ, ১৭ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব সংবাদ

ভারতের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি কমেছে ঘূর্ণিঝড়টির। আপাতত এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আগামী ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি কমে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া এর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শুধু সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবেই অবস্থান করবে মিগজাউম।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানায়, অন্ধ্রের বাপাতলা ১০০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মামের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে।

এ ছাড়া বুধবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ছত্তীশগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী ও দক্ষিণ ঊড়িষ্যাতেও।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মিগজাউম। শেষ ৬ ঘণ্টায় সমুদ্রের ওপর এর গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

এদিকে মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতোমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গেছেন ১৭ জন।

অপরদিকে বুধবার ঝড়কবলিত রাজ্যগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
৩৮০ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখন গভীর নিম্নচাপ, ১৭ জনের প্রাণহানি

আপডেট সময় ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারতের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানায়, মঙ্গলবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি কমেছে ঘূর্ণিঝড়টির। আপাতত এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আগামী ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি কমে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া এর পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শুধু সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবেই অবস্থান করবে মিগজাউম।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানায়, অন্ধ্রের বাপাতলা ১০০ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মামের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে।

এ ছাড়া বুধবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ছত্তীশগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী ও দক্ষিণ ঊড়িষ্যাতেও।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে মিগজাউম। শেষ ৬ ঘণ্টায় সমুদ্রের ওপর এর গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

এদিকে মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতোমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গেছেন ১৭ জন।

অপরদিকে বুধবার ঝড়কবলিত রাজ্যগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।