ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোট ঠেকাতে প্রতিহত করাও প্রতিটি নাগরিক দায়িত্ব- হাবিবুর রহমান

নিজস্ব সংবাদ

ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ভোট দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যারা ভোট দেওয়া ঠেকাতে আসে, তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করাও প্রতিটি নাগরিক, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাংবিধানিক দায়িত্ব।’

আরো বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত ও ভোটদানে বাধা প্রদান কার্যক্রম যাতে কেউ না করতে পারে, সেজন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন।’

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আজকে কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো আমাদের অবহিত করেছেন তারা।

‘নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই’ উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।

‘ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি হকারদের পুনবার্সনেও গুরুত্ব দিতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর যেসব ফুটপাত ও রাস্তা দখল রয়েছে, সেগুলো উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবেন কাউন্সিলরা। পুলিশ হকারদের তুলে দিতে পারে। কিন্তু পুনর্বাসনের বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। বিকল্প কোন ভেন্যুতে তাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে সে লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
১০৫ বার পড়া হয়েছে

ভোট ঠেকাতে প্রতিহত করাও প্রতিটি নাগরিক দায়িত্ব- হাবিবুর রহমান

আপডেট সময় ০২:১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ভোট দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যারা ভোট দেওয়া ঠেকাতে আসে, তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করাও প্রতিটি নাগরিক, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাংবিধানিক দায়িত্ব।’

আরো বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত ও ভোটদানে বাধা প্রদান কার্যক্রম যাতে কেউ না করতে পারে, সেজন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন।’

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আজকে কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো আমাদের অবহিত করেছেন তারা।

‘নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতার কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই’ উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।

‘ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি হকারদের পুনবার্সনেও গুরুত্ব দিতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর যেসব ফুটপাত ও রাস্তা দখল রয়েছে, সেগুলো উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবেন কাউন্সিলরা। পুলিশ হকারদের তুলে দিতে পারে। কিন্তু পুনর্বাসনের বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। বিকল্প কোন ভেন্যুতে তাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে সে লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে।