ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুকিত একাই বানিয়েছেন ৪০০ ককটেল

নিজস্ব সংবাদ

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুকিত হোসাইন ওরফে বোমা মাওলানাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র লালবাগ বিভাগ। সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি জানায়, ২৮শে অক্টোবরের আগে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু গান পাউডার পাঠায়,সেই গান পাউডার দিয়ে বোমা মাওলানা প্রায় ৪০০ ককটেল তৈরি করে। পরে এসব ককটেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই করে।সেই সাপ্লাই করা ককটেলের একটি দিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে গনমাধ্যকে  এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে মুকিত হোসাইন ওরফে বোমা মাওলানার সন্ধানে ছিলাম। তার আসল নাম মুকিত হোসাইন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি বোমা মাওলানা নামে পরিচিতি লাভ করে। এক সময় সে আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে সভাপতি ছিল। পরবর্তীতে সে ছাত্রদল মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

২০১৩-১৪ সালে বোমা বানাতে গিয়ে তিনি তার ডান হাতের কব্জি হারায়। এরপর থেকে তার নাম হয়ে যায় বোমা মাওলানা। দলীয় আনুগত্য ও হিংস্র কর্মকাণ্ডের কারণে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে স্বয়ংতারেক জিয়া নিজেই তাকে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেয় ।

হারুন অর রশীদ বলেন, মহানগর জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে যে  ককটেল বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে সেটার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বোমা মাওলানা। ২৭শে অক্টোবর রাতে মতিঝিল ব্যাংক কলোনিতে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পাঠানো ১০ কেজি পরিমাণ গান পাউডার বোমা মাওলানা রিসিভ করে ভাটারা থানার যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়নের কাছ থেকে। এই গান পাউডার দিয়ে কয়েক দফায় প্রায় চারশ’ হাতবোমা (ককটেল) তৈরি করে সে। পরে সে এসব হাতবোমা সাপ্লাই দিয়েছে বিভিন্ন থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদেরকে। তার সরবরাহ করা হাতবোমা থেকে ১টি হাতবোমা যুবদলের সদস্য সোহেল খান ও অভি আজাদ চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর জজ কোর্ট আদালতের প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত করে ওয়ারীর আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতিটি যানবাহনে আগুন দেয়ার জন্য  ১০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরণ ঘটানো ও মশাল মিছিলের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রায় ৬-৭ হাজার লোকের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছে বোমা মাওলানা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
১৯৫ বার পড়া হয়েছে

মুকিত একাই বানিয়েছেন ৪০০ ককটেল

আপডেট সময় ১১:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুকিত হোসাইন ওরফে বোমা মাওলানাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র লালবাগ বিভাগ। সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি জানায়, ২৮শে অক্টোবরের আগে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু গান পাউডার পাঠায়,সেই গান পাউডার দিয়ে বোমা মাওলানা প্রায় ৪০০ ককটেল তৈরি করে। পরে এসব ককটেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই করে।সেই সাপ্লাই করা ককটেলের একটি দিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে গনমাধ্যকে  এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে মুকিত হোসাইন ওরফে বোমা মাওলানার সন্ধানে ছিলাম। তার আসল নাম মুকিত হোসাইন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি বোমা মাওলানা নামে পরিচিতি লাভ করে। এক সময় সে আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে সভাপতি ছিল। পরবর্তীতে সে ছাত্রদল মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

২০১৩-১৪ সালে বোমা বানাতে গিয়ে তিনি তার ডান হাতের কব্জি হারায়। এরপর থেকে তার নাম হয়ে যায় বোমা মাওলানা। দলীয় আনুগত্য ও হিংস্র কর্মকাণ্ডের কারণে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে স্বয়ংতারেক জিয়া নিজেই তাকে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেয় ।

হারুন অর রশীদ বলেন, মহানগর জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে যে  ককটেল বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে সেটার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বোমা মাওলানা। ২৭শে অক্টোবর রাতে মতিঝিল ব্যাংক কলোনিতে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পাঠানো ১০ কেজি পরিমাণ গান পাউডার বোমা মাওলানা রিসিভ করে ভাটারা থানার যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়নের কাছ থেকে। এই গান পাউডার দিয়ে কয়েক দফায় প্রায় চারশ’ হাতবোমা (ককটেল) তৈরি করে সে। পরে সে এসব হাতবোমা সাপ্লাই দিয়েছে বিভিন্ন থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদেরকে। তার সরবরাহ করা হাতবোমা থেকে ১টি হাতবোমা যুবদলের সদস্য সোহেল খান ও অভি আজাদ চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর জজ কোর্ট আদালতের প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত করে ওয়ারীর আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতিটি যানবাহনে আগুন দেয়ার জন্য  ১০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরণ ঘটানো ও মশাল মিছিলের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রায় ৬-৭ হাজার লোকের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছে বোমা মাওলানা।