স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচনি কার্যক্রম বাতিল
নওগাঁ-২ আসনের জন্য নতুন করে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, এখন যারা বৈধ প্রার্থী আছেন, তাদের আর নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না।
ভোটের আট দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন (ই সি)
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ শুক্রবার বিকালে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের প্রতীক ছিল ঈগল; শুক্রবার সকাল ৫টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
“উনি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মত্যুবরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন বাতিল করবে। পরবর্তীতে নির্বাচন হবে।”
ফলে ৭ জানুয়ারি ভোট হবে ২৯৯ আসনে। পরে নওগাঁ-২ আসনের জন্য নতুন করে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, এখন যারা বৈধ প্রার্থী আছেন, তাদের আর মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না। পুরাতন প্রার্থীর সাথে নতুন প্রার্থীর যোগ হওয়ার সুযোগ আছে বলে তিনি জানান।
নওগাঁ-২ আসনে আমিনুল হক ছাড়াও তিনজন প্রার্থী আছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির তোফাজ্জল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল ইসলাম।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “এই আসনে কবে ভোট হবে সেই সিদ্ধান্ত কমিশন পরে দেবে।আপাতত এই আসনে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোট হবে।” ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ও এক প্রার্থীর মৃত্যুতে ২৯৯ আসনে ভোট হয়েছিল। পরে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট হয় ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি।
তার আগে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনেও ভোট হয় ২৯৯ আসনে। গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলামের মৃত্যুর কারণে নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর হয়নি। পরে ওই আসনে নির্বাচন হয় ১২ জানুয়ারি।