লাঙ্গলে ভোট দিলে আমার ভোটারদের হাত-পা ভেঙ্গে দিবে, সাইফুল ইসলাম
নারায়ণগঞ্জ রুপগঞ্জ ১ আসনে দ্বাদশ নির্বাচন আমরা যা দেখে আসছিলাম ও ভেবে আসছিলাম তাতে মনে হচ্ছিলো যে ফেয়ার হবে কিন্তু যতদিন যাচ্ছে দিন গড়াচ্ছে, আমরা নির্বাচনটা যেভাবে মনে করছিলাম এরকম হবে না, নির্বাচন হওয়ার আগেই হুমকি-ধামকি ও ক্ষমতাশীল দলের লোকেরা আমার ভোটার ও সাধারণ মানুষদেরকে যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন সাধারণ জনগণ ও ভোটাররা মনে হচ্ছে না ভোটকেন্দ্রে যাবেন ভোট দিতে। এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি এখনো আশা করি না।
যত দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নির্বাচনটা ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে, আমি সোজা-সাপটা বলতে চাই, নৌকা মার্কের পক্ষে যারা কাজ করছেন তারা সাধারণ মানুষকে বলছে “হয়তো নৌকা ভোট দিবি নয়তো মরবি” এই কথাটা একটা স্লোগানের মত হয়ে গেছে, একটা গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে কথা বলবে তা আমরা কখনো আশা করি না, সাধারণ মানুষ অনেক ভয় ভীতিতে আছে । আমরা যতই তাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলছি যে আগের নির্বাচনের মত এরকম নির্বাচন হবে না।এটা সুষ্ঠ উৎসবমুখর নির্বাচন হবে, তখন মানুষ পাল্টা আমাদেরকে প্রশ্ন করে বসে, আপনি কি আমাকে আমার জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারবেন? এই প্রশ্নের যখন সম্মুখীন আমাদের হতে হয় তখন আমরা কোন প্রতি উত্তর দিতে পারি না।
যদিও বলি প্রশাসন এবার নির্বাচন নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। যতই আমি বলি, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখছিনা আমি নিজেই শঙ্কায় আছি, কারনটা হচ্ছে আমি আমারমতো করে প্রচার প্রচারণা করে আসছিলাম, আমার প্রচার-প্রচারণার পোস্টার ও আমার নির্বাচনী ক্যাম্প যেভাবে দখল করেছে, আমার নির্বাচনের ক্যাম্পের সকল পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে, আমার নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে এর জন্যই আমি মনে করি না এবারে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
তবুও অপেক্ষায় আছি যদিও সময় অল্প! প্রশাসন যদি চিহ্নিত দোষীদের আইনের আওত্বায় আনতে পারে তাহলে হয়তো আমার নির্বাচনী এরিয়াতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে, আমার ভোটারের উপরে ওরা যেভাবে চাপ প্রয়োগ করছে, হুমকি দিচ্ছে তা নিয়ে আমি সংকিত।
বলাবো আমার একটা ইউনিয়ন আছে এখানে সেলিম নামে আমার একজন ওয়ার্ডের সভাপতি আছেন তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই বলে, যদি সে এখানে লাঙলের ক্যাম্প বসায় ও নৌকার পক্ষ থেকে কাজ না করে তাহলে তার হাত পা ভেঙে দিবে। সে এখানে কিভাবে বসবাস করে তা দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। ৭ তারিখ নির্বাচন, ৮ তারিখ থেকে তাদের অ্যাকশন শুরু হবে।
কায়েতপারা ইউনিয়নে যখন আমার নেতাকর্মীরা ভোট চাইতে গিয়েছেন তখন তাদেরকে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এবং বলছে এখানে নৌকা ছাড়া আর কিছুই হবে না। নৌকা মার্কার পক্ষে যে আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমার মনে হচ্ছে এটা এককভাবে একপন্থি নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে।
মানুষের মন ও আকাশের রং, কখন চেঞ্জ হয় তা বোঝার কোন উপায় নেই। আমার জয় পরাজয় নির্ভর করে ভোটারদের উপরে। আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি, আল্লাহ যদি চায় তাহলে হয়তো পরিবর্তন হয়ে আমি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ১ আসনে নির্বাচিত হবো।