ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রঙতুলির আঁচড়ে রঙ্গিন ইবির শহীদ মিনার

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

২০ পেরিয়ে ২১ কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র । ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতের পর ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শুরু হবে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে জাতি স্মরণ করবে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের; যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম রাষ্ট্রভাষা বাংলা।

প্রতিবারের মতো এবারও মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ইতিহাসের পাতায় রক্ত পলাশ হয়ে ফোটা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিকে রাঙাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ঘুরে দেখা যায়, শহিদ দিবস উপলক্ষে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের রঙতুলির আলপনায় সেজেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুজিব ম্যুরালসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থান। যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে উদযাপনের লক্ষ্যে ইবির বিভিন্ন স্থানে রঙিন আল্পনা এঁকেছে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

চারুকলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে এই আলপনা, সাজসজ্জা ও রঙতুলির কাজ চলছে। তিনদিনের এই কার্যক্রমে বিভাগের চলমান চারটি ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।

আল্পনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ইবিতে আলপনা আঁকার কাজ আমরাই করছি। বেশ উপভোগ করি এটি। আমাদের এই সংস্কৃতি চালু থাকুক। আমরা ডায়না চত্বর, মুজিব ম্যুরাল প্রাঙ্গন, শহীদ মিনারের রাস্তায় এবং শহীদ মিনারের পাদদেশ রাঙিয়েছি। আমাদের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, পিচঢালা রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছেন, তাদের জন্য এ কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করি।

এবিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য কম। আমাদের সাজসজ্জার জন্য বরাদ্দকৃত অপ্রতুল বাজেট নিয়েই ফাইন আর্টসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই কাজটি সম্পন্ন করেছি। দুইদিনের মধ্যে সল্প সময়ে পরশু সন্ধ্যা থেকে গতকাল রাত ১০ টা পর্যন্ত সকলে কাজ করেছে। এই সাধ্যের ভিতর থেকেই চমৎকার ভাবে শহীদ মিনারের রাস্তাটা এবং মেইন গেইট সাজিয়ে তুলতে পেরে ভালো লাগছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১৬২ বার পড়া হয়েছে

রঙতুলির আঁচড়ে রঙ্গিন ইবির শহীদ মিনার

আপডেট সময় ১০:০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

২০ পেরিয়ে ২১ কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র । ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতের পর ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শুরু হবে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে জাতি স্মরণ করবে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের; যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম রাষ্ট্রভাষা বাংলা।

প্রতিবারের মতো এবারও মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ইতিহাসের পাতায় রক্ত পলাশ হয়ে ফোটা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিকে রাঙাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ঘুরে দেখা যায়, শহিদ দিবস উপলক্ষে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের রঙতুলির আলপনায় সেজেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুজিব ম্যুরালসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থান। যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে উদযাপনের লক্ষ্যে ইবির বিভিন্ন স্থানে রঙিন আল্পনা এঁকেছে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

চারুকলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে এই আলপনা, সাজসজ্জা ও রঙতুলির কাজ চলছে। তিনদিনের এই কার্যক্রমে বিভাগের চলমান চারটি ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।

আল্পনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ইবিতে আলপনা আঁকার কাজ আমরাই করছি। বেশ উপভোগ করি এটি। আমাদের এই সংস্কৃতি চালু থাকুক। আমরা ডায়না চত্বর, মুজিব ম্যুরাল প্রাঙ্গন, শহীদ মিনারের রাস্তায় এবং শহীদ মিনারের পাদদেশ রাঙিয়েছি। আমাদের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, পিচঢালা রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছেন, তাদের জন্য এ কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করি।

এবিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য কম। আমাদের সাজসজ্জার জন্য বরাদ্দকৃত অপ্রতুল বাজেট নিয়েই ফাইন আর্টসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই কাজটি সম্পন্ন করেছি। দুইদিনের মধ্যে সল্প সময়ে পরশু সন্ধ্যা থেকে গতকাল রাত ১০ টা পর্যন্ত সকলে কাজ করেছে। এই সাধ্যের ভিতর থেকেই চমৎকার ভাবে শহীদ মিনারের রাস্তাটা এবং মেইন গেইট সাজিয়ে তুলতে পেরে ভালো লাগছে।