নোবিপ্রবিতে দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু
নোবিপ্রবিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী ‘টেকসই ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সকাল ১০.০০ টায় কনফারেন্সটি শুরু হয়।জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনফারেন্সটি শুরু হয়।এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
কনফারেন্সের অর্গানাইজিং চেয়ার ও নোবিপ্রবি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আজম, নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা বিশ্বাস ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক তানভীর আহমেদ।
নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের দুটি লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যার মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর লক্ষ্যমাত্রা আমরা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছি। অন্যটি হচ্ছে রূপকল্প ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে উপনীত হবো যার জন্য প্রয়োজন একটি মজবুত অর্থনীতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিশন বাস্তবায়নে এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে আয়োজকদের ধন্যবাদ এ ধরণের একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এ ধরণের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করায় আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পেরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং উন্নত দেশ বিনির্মাণে কাজ করে চলেছেন। আমরা যদি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করি এবং আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তবে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পণ করতে পারবো। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের সফলতা কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে রূপকল্প ২০৪১ এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এ ধরণের সম্মেলন শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নতুন প্রজন্মের গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ওপর। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং যুব সমাজের পরিশ্রম ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
কনফারেন্সের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল কাইয়ুম মাসুদ, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহরিয়ার সেতু।
উল্লেখ্য, কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের যেমন যুক্তরাষ্ট্র,মালেশিয়া, নাইজেরিয়া, যুক্তরাজ্য,ভারত, ইন্দোনেশিয়া পাকিস্তানসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্বিবদ্যালয়ের গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং অর্ধশতাধিক গবেষণাপত্র নির্বাচিত হয়েছে। কনফারেন্সে ব্যবসা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নির্ধারিত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- একাউন্টিং, ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স, ম্যানেজমেন্ট, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স, ফলিত বিজ্ঞান, সাইবার সিকিউরিটি, ইনফরমেশন টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস ইন্টিলিজেন্স, অপারেশনাল রিসার্চ, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং।