ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে শুরু করেছে গভীর নিম্নচাপটি
বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘু নিম্নচাপটি প্রথমে নিম্নচাপ তারপর গভীর নিম্নচাপ থেকে এবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এর প্রভাবে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঢেউয়ের তীব্রতাও বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক গুন। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় মোংলা স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ বালি।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, উপকূলের আরও কাছাকাছি এসে ভূমিতে উঠে আসার আগে শক্তি সঞ্চয় করে রোববার (২৬ মে) ঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড়টি সর্বপ্রথম যেখানে আঘাত হানবে, সেখানের বাতাসের গতিবেশ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা ২৬ দশমিক পাঁচ বা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে, তখন ঘূর্ণিঝড়ের পরিবেশ তৈরি হয়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে যেই অবস্থান দেখাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি বাংলাদেশের ওপর দিয়েই অতিক্রম করার সম্ভাবনা আছে। এবং বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা এবং বরিশালের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলায় রেমাল-এর আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।