ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল কেড়ে নিল ৭ প্রাণ

মামুনুর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

 

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি বয়ে গেছে দেশের উপকূল অঞ্চলে। এর প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে ৭ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।

 

আবহাওয়া অফিস বলছে, দুর্যোগের আগেই সঠিক পূর্বাভাস এবং মানুষের সচেতনতায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও তেমন প্রভাব পড়েনি।

 

দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পটুয়াখালীতে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে একজন এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একজনের প্রাণ গেছে। মোংলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ দুইজন। এছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

বাগেরহাটে পানির প্রবল চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। রাত বারোটার দিকে বাগেরহাটের নদনদীতে জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানগুছি নদীর তীরবর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলা, বলেশ্বর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলা, পশুর নদীর তীরবর্তী মোংলা উপজেলা, রামপাল উপজেলা ও বাগেরহাট সদরের বেশ কিছু গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে মানুষের ঘরবাড়ি, চিংড়িঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও দশ হাজার মানুষ পানিপন্দি আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা মহানগরীর নিম্নাঞ্চল। এছাড়া ঝড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

 

খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বর্তমানে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া এমনই থাকবে।

 

রেমালের অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
১৫০ বার পড়া হয়েছে

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল কেড়ে নিল ৭ প্রাণ

আপডেট সময় ০১:৫২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

 

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দমকা হাওয়াসহ ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি বয়ে গেছে দেশের উপকূল অঞ্চলে। এর প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে ৭ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।

 

আবহাওয়া অফিস বলছে, দুর্যোগের আগেই সঠিক পূর্বাভাস এবং মানুষের সচেতনতায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও তেমন প্রভাব পড়েনি।

 

দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পটুয়াখালীতে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে একজন এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একজনের প্রাণ গেছে। মোংলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ দুইজন। এছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

বাগেরহাটে পানির প্রবল চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। রাত বারোটার দিকে বাগেরহাটের নদনদীতে জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানগুছি নদীর তীরবর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলা, বলেশ্বর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলা, পশুর নদীর তীরবর্তী মোংলা উপজেলা, রামপাল উপজেলা ও বাগেরহাট সদরের বেশ কিছু গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে মানুষের ঘরবাড়ি, চিংড়িঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও দশ হাজার মানুষ পানিপন্দি আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা মহানগরীর নিম্নাঞ্চল। এছাড়া ঝড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

 

খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বর্তমানে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া এমনই থাকবে।

 

রেমালের অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।