৯ম দিনের মতো ইবি শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি চলছে
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ৯ম দিনের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক সমিতির ডাকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১২ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচতলায় ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান এর নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মবিরতিতে অংশ নেয়া শিক্ষক নেতারা বলেন, একজন শিক্ষক তার চাকরি জীবন শেষ করে ৭৫ বছর পর কি আত্নহত্যার পথ বেছে নিবে? একজন শিক্ষক যদি তার চাকরি জীবন শেষ করে স্বনির্ভর না হতে পারে এরচেয়ে লজ্জার কিছু থাকবে না। এই পেশায় প্রত্যয় স্কিম ঢুকিয়ে মেধাবীদের আসতে না দিলে তা জাতিকে তারা মেরুদণ্ডহীন করে দিবে কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাই আমাদের ছাত্রদের প্রতি আহবান থাকবে তারাও এই ব্যাপারে সচেতন থাকে।
এসময় তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তবে সারাদেশে শিক্ষকদের সর্বাত্মক আন্দোলনে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে গেলেও সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন কথা বলেননি। সরকারের প্রতি আহবান থাকবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এই অচলাবস্থার সমাধান দিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক, কিন্তু এই শিক্ষকদের আজকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেয়া হচ্ছে যে হাতেগোনা কয়জন তোমরা শিক্ষক হতে পারবা, কিন্তু এদের জন্য তোমরা পুরো ব্যাচ পিছিয়ে যাচ্ছ। ভবিষ্যতে এই জাতি মাথা উচু করে থাকতে হলে কুচক্রী আমলা যারা জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য হলেও এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।