ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে সংখ্যালঘুদের শাহবাগে সমাবেশ ও অবরোধ

নিজস্ব সংবাদ

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠনসহ চার দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এসময় আমি কে তুমি কে বাঙালি বাঙালি, আমার দেশ সবার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা বাংলাদেশ ছাড়বো না, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, সনাতনীর ওপর আক্রমণ মানি না মানবো না, প্রশাসন চুপ কেন জবাব চাই দিতে হবে, সনাতনীদের লড়াই থামবে না থামবে না,
কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার, রামায়ণের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার ঘরে হামলা কেন জবাব চাই, জবাব দাও, জেগেছে রে জেগেছে সনাতনী জেগেছে, রক্ত আগুন লেগেছে জেগেছে রে জেগেছে, তুমি কে, আমি কে সনাতনী সনাতনী।
এই স্বাধীন বাংলায় কি সনাতনীদের ঠাঁই নাই, ভাঙতে যদি হয় বিরোধ, গড়ে তুলো প্রতিরোধ, বীর শিবাজির হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, এগিয়ে এসো দাপটে সনাতনীদের বাঁচাতে, সনাতনীরা অস্ত্র ধর ধর্ম রক্ষায় নেমে পড়ো এসব স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৩টায় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি করার থাকলেও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে অবস্থান করেন। তার আগে এক প্রেস বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতের যাওয়ার দিন থেকেই সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্যদের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির।

বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাদের ঘরবাড়ি, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও আগুন দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতাদের সহায়-সম্পত্তিও রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে ৪ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
৪৫ বার পড়া হয়েছে

সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে সংখ্যালঘুদের শাহবাগে সমাবেশ ও অবরোধ

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠনসহ চার দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এসময় আমি কে তুমি কে বাঙালি বাঙালি, আমার দেশ সবার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা বাংলাদেশ ছাড়বো না, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, সনাতনীর ওপর আক্রমণ মানি না মানবো না, প্রশাসন চুপ কেন জবাব চাই দিতে হবে, সনাতনীদের লড়াই থামবে না থামবে না,
কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার, রামায়ণের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার ঘরে হামলা কেন জবাব চাই, জবাব দাও, জেগেছে রে জেগেছে সনাতনী জেগেছে, রক্ত আগুন লেগেছে জেগেছে রে জেগেছে, তুমি কে, আমি কে সনাতনী সনাতনী।
এই স্বাধীন বাংলায় কি সনাতনীদের ঠাঁই নাই, ভাঙতে যদি হয় বিরোধ, গড়ে তুলো প্রতিরোধ, বীর শিবাজির হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, এগিয়ে এসো দাপটে সনাতনীদের বাঁচাতে, সনাতনীরা অস্ত্র ধর ধর্ম রক্ষায় নেমে পড়ো এসব স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৩টায় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি করার থাকলেও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে অবস্থান করেন। তার আগে এক প্রেস বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতের যাওয়ার দিন থেকেই সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্যদের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির।

বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাদের ঘরবাড়ি, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও আগুন দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতাদের সহায়-সম্পত্তিও রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে ৪ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।