ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলের সিট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক স্ট্যাটাস ; কথা-কাটাকাটিতে অজ্ঞান ইবির শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক সিট নিয়ে সরাসরি নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে এক ছাত্রীকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া কে কেন্দ্র করে পোস্টদাতাকে পোস্টটি ডিলেট করতে অনুরোধ, তারপর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্যানিক অ্যাটাক করে জ্ঞান হারিয়েছে উক্ত হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। এঘটনাকে মানসিক র‍্যাগিং উল্লেখ করে অভিযুক্ত ছাত্রীর বিচার চেয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শেখ হাসিনা হলের নতুন ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রাইসা আমিন লস্কর। সে আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম রুকসানা খাতুন ইতি, সে ইসলামের ইতিহাসের সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা দুজনেই দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ইতি আজ সকালে ইবিয়ান পরিবার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ এবং পোষ্য কোটা উল্লেখ করে, যেখানে ২০১৯-২০ সেশনের সিঙ্গেল সিটের এলটমেন্ট দেয় নাই সেখানে ২০২০-২১ কীভাবে সিঙ্গেল সিট পায় প্রশ্ন তুলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধকে বৈধ বানিয়ে হলে সিঙ্গেল সিট নিয়েছে অভিযোগ করে বিস্তর একটি স্ট্যাটাস দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রাইসার বান্ধবীরা পোষ্টের ব্যাপারে তাকে জানালে সে ফেসবুক পোস্টটি দেখে আত্মসম্মানের ভয়ে পোস্টটি যেন ডিলিট করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ করতে ইতির রুমে যায়। এরপর এদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে ইতির আরো কয়েকজন বান্ধবী এসে রাইসাকে ঘিরে একনাগাড়ে প্রশ্ন এবং নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে শুরু করলে হুট করে রাইসা জ্ঞান হারায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ইতির রুমমেট বলেন, রাইসা যেহেতু আমার ফ্রেন্ড তাই রুমে এসে আমার বেডে বসে। ও ঘুম থেকে উঠে সাথে সাথেই পোস্টটি দেখে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। পরে আপুকে জিজ্ঞেস করে এই পোস্ট আপনি কেন করলেন। আপু বললো যে তিনি কারো নাম মেনশন করে পোস্ট করেননি। রাইসা বলে যে আপনি সেশন উল্লেখ করে, বাবা চাকরি করে উল্লেখ করেছেন, এতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে আমাকে ইঙ্গিত করছে। তারপর চেঁচামেচি এবং কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে হলের অনেকে মেয়েরা এখানে চলে আসে। তারপর আমরা পরিবেশটা স্বাভাবিক করে তারপর কথাবার্তা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু এখানে ১৯-২০ এর অনেক আপুরা এসেও নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে। রাইসা অসুস্থতা বোধ করলে আপুরা দ্রুত ওকে রুমে রেখেই রুম থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে প্যানিক হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মেডিকেলে নিয়ে আসি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাইসা বলেন, প্রথমত হলে প্রভোস্ট নাই, ক্যাম্পাসে প্রশাসন নাই। আপুরা এর আগে ২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে হলের ফ্লোরে ফ্লোরে গিয়ে সবাইকে নেমে যেতে বলে। তাদের কথা ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কোন সিট বৈধ হতে পারে না। যদি প্রভোস্টও করে থাকে সেটাও অবৈধ। পরদিন উনারা হল অফিসে যেয়ে ১০ দিন সময়ের একটা নোটিশ নিয়ে আসে। ১০ দিনের মধ্যে কেবল ২টা দিন গেছে। ২০-২১ সেশনের যারা সিঙ্গেল সিটে থাকি আমরা ভেবেছিলাম যে হলের প্রভোস্ট আসার পর আমরা শেষবারের মতো একবার অনুরোধ করে দেখব। তারপরেও যদি না হয় আমরা সিট ছেড়ে দিতাম। অথচ আপুরা সময় শেষ হওয়ার আগেই আমাকে নিয়ে এভাবে পাবলিকলি পোস্ট করে যেটা পড়ে যে কেও বুজবে যে আমাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপুরা চাইলে ফেসবুকে পোস্ট না করে আমরা ২০-২১ সেশনের যারা থাকি তাদের আলাদা করে ডেকে বিষয়টা বলতে পারত। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ২০-২১ সেশনের নামে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো মেয়েদের প্রচন্ডভাবে মানসিক চাপে রাখে। মেয়েদের কাছে মানসম্মানটা অনেক কিছু। আমি আপুকে অনুরোধ করতে যাওয়ার পর আমার সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা মানসিক র‍্যাগিংয়ের সমান। এমনকি আমি যখন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম তখনো ১৯-২০ এর এক আপু মজা করে বলে এটা তুমি গায়ে টেনে নিচ্ছো কেন, এটা ও আমাকে মিন করে বলছে৷ অথচ পোস্টে পরিষ্কার ২০২০-২১ সেশন বলা আছে। আমি এই মানসিক অত্যচারের বিচার চাই।

অভিযুক্ত রুখসানা ইতি বলেন, আমি পোস্টে কারো নাম মেনশন করিনি। হঠাৎ করে সে একজন জুনিয়র হয়ে আমার রুমে তেড়ে আসে। আমাকে পোস্টের বিষয়ে নানাভাবে শাসায়। আমি তাকে মানসিকভাবে র‍্যাগিং করিনি বরং সে নিজে অন্য ব্লক থেকে আমার রুমে এসে আমাকেই মানসিকভাবে র‍্যাগিং করেছে। যেটা সত্য আমি সেটাই লিখেছি। তার সাথে আমার কখনো সাক্ষাৎও হয়নি। ওভাবে রুমে আসার পর আমি তাকে বুঝাইছি যে তুমি শান্ত থাকো। তুমি যদি মনে করো যে তুমি ই সে, তাহলে আমি পোস্ট ডিলিট করে দিবো। তারপর আমি পোস্ট ডিলিটও করে দিয়েছি। এরপরেও তার বয়ফ্রেন্ডও এই বিষয়ে নানাভাবে প্রশ্ন করে আমাকে শাসায়। এখন সে যদি ভিক্টিম রোল প্লে করে এবং আমাকে ভিলেন সাজাতে চেষ্টা করে তাতে আমার যায় আসে না।

দায়িত্বরত চিকিৎসক জিহান আফরিন বলেন, আমরা কোন চিকিৎসা দেওয়ার আগেই তার জ্ঞান ফিরে আসে। জিগ্যেস করে জানতে পেরেছি কোন একটি ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে কথা বলতে গেলে পোস্টদাতার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সে অস্থির হয়ে প্যানিক অ্যাটাক করে অজ্ঞান হয়ে যায়। আপাতত ভয়ের কিছু নেই। সে সকালে খাওয়া দাওয়া করেনি বলে জানিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছি এবং প্যানিক হয় এরকম কোন পরিস্থিতিতে না যেতে পরামর্শ দিয়েছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৫২ বার পড়া হয়েছে

হলের সিট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক স্ট্যাটাস ; কথা-কাটাকাটিতে অজ্ঞান ইবির শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী

আপডেট সময় ০৪:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক সিট নিয়ে সরাসরি নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে এক ছাত্রীকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া কে কেন্দ্র করে পোস্টদাতাকে পোস্টটি ডিলেট করতে অনুরোধ, তারপর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্যানিক অ্যাটাক করে জ্ঞান হারিয়েছে উক্ত হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। এঘটনাকে মানসিক র‍্যাগিং উল্লেখ করে অভিযুক্ত ছাত্রীর বিচার চেয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শেখ হাসিনা হলের নতুন ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রাইসা আমিন লস্কর। সে আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম রুকসানা খাতুন ইতি, সে ইসলামের ইতিহাসের সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা দুজনেই দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ইতি আজ সকালে ইবিয়ান পরিবার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ এবং পোষ্য কোটা উল্লেখ করে, যেখানে ২০১৯-২০ সেশনের সিঙ্গেল সিটের এলটমেন্ট দেয় নাই সেখানে ২০২০-২১ কীভাবে সিঙ্গেল সিট পায় প্রশ্ন তুলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধকে বৈধ বানিয়ে হলে সিঙ্গেল সিট নিয়েছে অভিযোগ করে বিস্তর একটি স্ট্যাটাস দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রাইসার বান্ধবীরা পোষ্টের ব্যাপারে তাকে জানালে সে ফেসবুক পোস্টটি দেখে আত্মসম্মানের ভয়ে পোস্টটি যেন ডিলিট করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ করতে ইতির রুমে যায়। এরপর এদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে ইতির আরো কয়েকজন বান্ধবী এসে রাইসাকে ঘিরে একনাগাড়ে প্রশ্ন এবং নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে শুরু করলে হুট করে রাইসা জ্ঞান হারায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ইতির রুমমেট বলেন, রাইসা যেহেতু আমার ফ্রেন্ড তাই রুমে এসে আমার বেডে বসে। ও ঘুম থেকে উঠে সাথে সাথেই পোস্টটি দেখে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। পরে আপুকে জিজ্ঞেস করে এই পোস্ট আপনি কেন করলেন। আপু বললো যে তিনি কারো নাম মেনশন করে পোস্ট করেননি। রাইসা বলে যে আপনি সেশন উল্লেখ করে, বাবা চাকরি করে উল্লেখ করেছেন, এতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে আমাকে ইঙ্গিত করছে। তারপর চেঁচামেচি এবং কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে হলের অনেকে মেয়েরা এখানে চলে আসে। তারপর আমরা পরিবেশটা স্বাভাবিক করে তারপর কথাবার্তা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু এখানে ১৯-২০ এর অনেক আপুরা এসেও নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে। রাইসা অসুস্থতা বোধ করলে আপুরা দ্রুত ওকে রুমে রেখেই রুম থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে প্যানিক হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মেডিকেলে নিয়ে আসি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাইসা বলেন, প্রথমত হলে প্রভোস্ট নাই, ক্যাম্পাসে প্রশাসন নাই। আপুরা এর আগে ২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে হলের ফ্লোরে ফ্লোরে গিয়ে সবাইকে নেমে যেতে বলে। তাদের কথা ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কোন সিট বৈধ হতে পারে না। যদি প্রভোস্টও করে থাকে সেটাও অবৈধ। পরদিন উনারা হল অফিসে যেয়ে ১০ দিন সময়ের একটা নোটিশ নিয়ে আসে। ১০ দিনের মধ্যে কেবল ২টা দিন গেছে। ২০-২১ সেশনের যারা সিঙ্গেল সিটে থাকি আমরা ভেবেছিলাম যে হলের প্রভোস্ট আসার পর আমরা শেষবারের মতো একবার অনুরোধ করে দেখব। তারপরেও যদি না হয় আমরা সিট ছেড়ে দিতাম। অথচ আপুরা সময় শেষ হওয়ার আগেই আমাকে নিয়ে এভাবে পাবলিকলি পোস্ট করে যেটা পড়ে যে কেও বুজবে যে আমাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপুরা চাইলে ফেসবুকে পোস্ট না করে আমরা ২০-২১ সেশনের যারা থাকি তাদের আলাদা করে ডেকে বিষয়টা বলতে পারত। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ২০-২১ সেশনের নামে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো মেয়েদের প্রচন্ডভাবে মানসিক চাপে রাখে। মেয়েদের কাছে মানসম্মানটা অনেক কিছু। আমি আপুকে অনুরোধ করতে যাওয়ার পর আমার সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা মানসিক র‍্যাগিংয়ের সমান। এমনকি আমি যখন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম তখনো ১৯-২০ এর এক আপু মজা করে বলে এটা তুমি গায়ে টেনে নিচ্ছো কেন, এটা ও আমাকে মিন করে বলছে৷ অথচ পোস্টে পরিষ্কার ২০২০-২১ সেশন বলা আছে। আমি এই মানসিক অত্যচারের বিচার চাই।

অভিযুক্ত রুখসানা ইতি বলেন, আমি পোস্টে কারো নাম মেনশন করিনি। হঠাৎ করে সে একজন জুনিয়র হয়ে আমার রুমে তেড়ে আসে। আমাকে পোস্টের বিষয়ে নানাভাবে শাসায়। আমি তাকে মানসিকভাবে র‍্যাগিং করিনি বরং সে নিজে অন্য ব্লক থেকে আমার রুমে এসে আমাকেই মানসিকভাবে র‍্যাগিং করেছে। যেটা সত্য আমি সেটাই লিখেছি। তার সাথে আমার কখনো সাক্ষাৎও হয়নি। ওভাবে রুমে আসার পর আমি তাকে বুঝাইছি যে তুমি শান্ত থাকো। তুমি যদি মনে করো যে তুমি ই সে, তাহলে আমি পোস্ট ডিলিট করে দিবো। তারপর আমি পোস্ট ডিলিটও করে দিয়েছি। এরপরেও তার বয়ফ্রেন্ডও এই বিষয়ে নানাভাবে প্রশ্ন করে আমাকে শাসায়। এখন সে যদি ভিক্টিম রোল প্লে করে এবং আমাকে ভিলেন সাজাতে চেষ্টা করে তাতে আমার যায় আসে না।

দায়িত্বরত চিকিৎসক জিহান আফরিন বলেন, আমরা কোন চিকিৎসা দেওয়ার আগেই তার জ্ঞান ফিরে আসে। জিগ্যেস করে জানতে পেরেছি কোন একটি ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে কথা বলতে গেলে পোস্টদাতার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সে অস্থির হয়ে প্যানিক অ্যাটাক করে অজ্ঞান হয়ে যায়। আপাতত ভয়ের কিছু নেই। সে সকালে খাওয়া দাওয়া করেনি বলে জানিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছি এবং প্যানিক হয় এরকম কোন পরিস্থিতিতে না যেতে পরামর্শ দিয়েছি।