ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দেয়ার হুশিয়ারি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ

পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা করবে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টাকারীদের হাত ভেঙে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নে রাঙ্গামাটির স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আঞ্চলিক দলের নেতাগণসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সংঘটিত করার পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবস্থায় অবনতি করা যাবে না। আমরা কোনো অবস্থায় সন্ত্রাসীদের ছাড় দিবো না।

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে গণমাধ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর আগে বেলা সোয়া ১২টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, দুটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নের প্রান্তিক মিলনায়তনে উপস্থিত হন।

সাড়ে ১২টার সময় সেখানে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সরকারি অফিসের প্রধানগণ, বিএনপি-জামায়াত ও জেএসএসর নেতৃবৃন্দ, চাকমা সার্কেল চিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিগণ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরবর্তীতে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মতবিনিময় সভায় জেএসএস’র পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবেই জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনাটির সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস-এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় জানান, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া অপশক্তি এবং পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৩১ বার পড়া হয়েছে

আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দেয়ার হুশিয়ারি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা করবে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টাকারীদের হাত ভেঙে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নে রাঙ্গামাটির স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আঞ্চলিক দলের নেতাগণসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সংঘটিত করার পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবস্থায় অবনতি করা যাবে না। আমরা কোনো অবস্থায় সন্ত্রাসীদের ছাড় দিবো না।

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে গণমাধ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর আগে বেলা সোয়া ১২টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, দুটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নের প্রান্তিক মিলনায়তনে উপস্থিত হন।

সাড়ে ১২টার সময় সেখানে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সরকারি অফিসের প্রধানগণ, বিএনপি-জামায়াত ও জেএসএসর নেতৃবৃন্দ, চাকমা সার্কেল চিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিগণ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরবর্তীতে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মতবিনিময় সভায় জেএসএস’র পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবেই জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনাটির সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস-এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় জানান, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া অপশক্তি এবং পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়।