ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে সায়েন্স ক্লাবের ২য় বর্ষপূর্তি উৎযাপন

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

‘নিজের সৃজনশীলতা উন্মোচন করো’ স্লোগানে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং কক্ষে এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কাটা, সদস্যদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, গত বছরের হিসাব নিকাশ উত্থাপন, বছরব্যাপী পরিচালিত কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং আগামী বছরের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়।

 

এসময় সায়েন্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম, জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক সজল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাতুল লিভা, সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদুল মোস্তফা ছাড়াও ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে ক্লাবের সদস্যরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোন না কোন সংগঠনে যুক্ত থাকা প্রয়োজন। আমরা মনে করি যে ক্লাব আমাদের কিছু দিবে না, আমরাই একনাগাড়ে ক্লাবকে দিয়ে যাবো। কিন্তু ধারণাটি ভূল, একটি সংগঠন তার সদস্যদের কি দেয়, তা শুধু নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারি। আমরা অনেকেই আগে ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম, কারো সাথে মিশতে পারতাম না, সবার সামনে কথা বলতে পারতাম না, কিন্তু সায়েন্স ক্লাবে যুক্ত হওয়ার পর থেকে সে জড়তা কেটে গিয়েছে।

সায়েন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদুল মোস্তফা বলেন, মাত্র দু বছর আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের সাইন্স ক্লাব একমাত্র ক্লাব যেটা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহের স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা ন্যাশনাল সায়েন্স ফেয়ার আয়োজন করেছি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও সকলের সহযোগীতায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

উপদেষ্টা ইনজামুল হক সজল বলেন, বিজ্ঞান চর্চা ব্যতীত এই জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। আমাদের জাতির মানুষের প্রচন্ড কর্মদ্যোম রয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা না থাকার কারণে আমরা জাতিগতভাবে পিছিয়ে রয়েছি। আমি চাই সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর একটি করে সাইন্স ফেয়ার হোক। একটা সংগঠন শুধুমাত্র বিজ্ঞান চর্চার জায়গা না, এটা নেতৃত্ব তৈরিরও জায়গা। নিজের পরিবারকে তোমরা যেমন আপন ভাবো, তেমনি সাইন্স ক্লাবকেও তোমাদের আপন ভাবতে হবে।

উল্লেখ্য, ইবি সাইন্স ক্লাব সূচনালগ্ন থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে আগ্রহী করার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান মেলা সহ বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কর্মশালা, সভা ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে। ক্লাবের সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
১৫৭ বার পড়া হয়েছে

ইবিতে সায়েন্স ক্লাবের ২য় বর্ষপূর্তি উৎযাপন

আপডেট সময় ০৭:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

‘নিজের সৃজনশীলতা উন্মোচন করো’ স্লোগানে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নং কক্ষে এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কাটা, সদস্যদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, গত বছরের হিসাব নিকাশ উত্থাপন, বছরব্যাপী পরিচালিত কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং আগামী বছরের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়।

 

এসময় সায়েন্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম, জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক সজল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাতুল লিভা, সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদুল মোস্তফা ছাড়াও ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে ক্লাবের সদস্যরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোন না কোন সংগঠনে যুক্ত থাকা প্রয়োজন। আমরা মনে করি যে ক্লাব আমাদের কিছু দিবে না, আমরাই একনাগাড়ে ক্লাবকে দিয়ে যাবো। কিন্তু ধারণাটি ভূল, একটি সংগঠন তার সদস্যদের কি দেয়, তা শুধু নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারি। আমরা অনেকেই আগে ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম, কারো সাথে মিশতে পারতাম না, সবার সামনে কথা বলতে পারতাম না, কিন্তু সায়েন্স ক্লাবে যুক্ত হওয়ার পর থেকে সে জড়তা কেটে গিয়েছে।

সায়েন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদুল মোস্তফা বলেন, মাত্র দু বছর আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের সাইন্স ক্লাব একমাত্র ক্লাব যেটা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহের স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা ন্যাশনাল সায়েন্স ফেয়ার আয়োজন করেছি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও সকলের সহযোগীতায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

উপদেষ্টা ইনজামুল হক সজল বলেন, বিজ্ঞান চর্চা ব্যতীত এই জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। আমাদের জাতির মানুষের প্রচন্ড কর্মদ্যোম রয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা না থাকার কারণে আমরা জাতিগতভাবে পিছিয়ে রয়েছি। আমি চাই সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর একটি করে সাইন্স ফেয়ার হোক। একটা সংগঠন শুধুমাত্র বিজ্ঞান চর্চার জায়গা না, এটা নেতৃত্ব তৈরিরও জায়গা। নিজের পরিবারকে তোমরা যেমন আপন ভাবো, তেমনি সাইন্স ক্লাবকেও তোমাদের আপন ভাবতে হবে।

উল্লেখ্য, ইবি সাইন্স ক্লাব সূচনালগ্ন থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে আগ্রহী করার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান মেলা সহ বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কর্মশালা, সভা ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে। ক্লাবের সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে থাকে।