ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শুধু সরকার পরিবর্তন হয়েছে, বদলায়নি অন্য কিছু
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শুধু সরকার পরিবর্তন ছাড়া অন্য কিছুই বদলায়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রচার দলের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ‘দুর্যোগ প্রশমনে বিএনপির ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রচার দলের সহসভাপতি রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপির কর্মকাণ্ডের ওপরে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এক-এগারোর সময়ে আওয়ামী লীগের সকল মামলা যদি উঠে যেতে পারে, তাহলে এখন কেনো আমাদের মামলা উঠছে না। আপনারাই বলেছেন, আমাদের ওপরে মিথ্যা মামলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপমানিত করা হয়েছিলো, এতে গোটা জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাহলে আমাদের ওপরে এতো অত্যাচার-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা কেনো আপনাদের বিবেচনায় আসছে না।
তিনি বলেন, আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) মিথ্যা মামলার ব্যাপারে যদি আমরা সমব্যথি হতে পারি, সোচ্চার হতে পারি। তাহলে আপনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আমাদের মামলাগুলো আগের মতোই আছে, আমাদের আগের মতোই আদালতে যেতে হচ্ছে। এই কারণেই আমি বলেছি, সরকার বদলে গেছে কিন্তু তুমি-আমি একই আছি, যা ছিলাম আগে।
বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, মান্না দে‘র একটি গান, তুমি কী সেই আগের মতোই আছ, নাকী অনেকখানি বদলে গেছ। গানে শুরুটা এরকম যদি বলি, সরকার বদলিয়ে গেছে, তুমি-আামি একই আছি, আগে যা ছিলাম। বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই।
মানুষের জন্য, অধিকারের জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর যারা রক্ত দিয়েছে, যারা গুম হয়েছে, যারা সন্তান হারা হয়েছে, যারা পিতৃহারা হয়েছে, যারা মা হারা হয়েছে- এরা সব হারিয়েছে। মাঝখানে শেখ হাসিনা নাই। সব আগের মতোই আছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বলছি, আপনারা যদি ব্যর্থ হন তাহলে জাতি ব্যর্থ হবে। আপনারা ব্যর্থ হওয়া মানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ব্যর্থ হওয়া। আমরা দেখতে চাই আপনারা সফল হন। আমরা আপনাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবো। কিন্তু মানুষের কাছে স্পষ্ট করেন আপনারা নির্বাচন দিবেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনের জন্য কতটুকু সময় লাগবে বলেন না কেনো? সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন- ১৮ মাস, তার কথা বলেছেন বলুক। পরের দিন কেনো সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা সরকারের কথা না। তাহলে সরকারের কথাটা কী? ৩৬ মাস, ৩০ মাস- বলতে তো হবে আপনাকে।
আপনাকে তো সময় বলতে হবে। আমি যদি জানতে পারি আপনারা এতো মাস পরে নির্বাচন দেবেন, আমাদের তো কাজ আছে, আমাকে জনগণের কাছে যেতে হবে- তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করবো, আমি এই করব, সেই করব, আমি তো একটা রাজনৈতিক দল করি, আমাদেরও তো আকাঙ্ক্ষা আছে জনগণকে কনভিন্স করা। সুতরাং আপনাদের টার্গেট ঠিক করতে হবে।