ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে তিন ঘন্টার দুরত্বে ঢাকা-খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা

মামুনুর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

আসছে জুলাইয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু করবে। ঢাকা-যশোর রুটের নতুন দূরত্ব দাঁড়াবে ১৭২ কিলোমিটারে। আর ঢাকা থেকে যশোর যেতে সময় লাগবে সোয়া ২ ঘণ্টা। এবং এই হিসেবে ঢাকা থেকে খুলনা ও ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। এর আগে এ রুটের যাতায়াতে ট্রেনগুলোর সময় লাগতো কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা।

চারটি রেক (ট্রেন বডি) দিয়ে মোট ৮ জোড়া ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এর মধ্যে ঢাকা-যশোর-খুলনা রুটে চারটি, ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা রুটে দুইটি, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-গোবরা রুটে একটি এবং ঢাকা-বেনাপোল রুটে একটি ট্রেন চলাচল করবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সদরদপ্তরে পাঠানো রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা-ঢাকা রুটে প্রথম ট্রেনটি খুলনা থেকে ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

অন্যদিকে ঢাকা-খুলনা রুটে প্রথম ট্রেনটি ঢাকা থেকে ৬টায় ছেড়ে খুলনায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা থেকে ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

খুলনা-ঢাকা রুটে তৃতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়। আর ফিরতি ট্রেনটি রাত সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে সকালে সাড়ে দশটায়।

চতুর্থ ট্রেনটি খুলনা থেকে ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে। ঢাকা থেকে দুপুর একটায় ছেড়ে গিয়ে খুলনায় পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়।

আর ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং বেনাপোল থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।

ঢাকা-খুলনা রুটের মতো ঢাকা-দর্শনা রুটে ট্রেন থাকছে দুইটি।

ঢাকা-দর্শনা রুটে প্রথম ট্রেনটি দর্শনা থেকে সকাল সাতটায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে ১২টায় এবং ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে দিয়ে দর্শনায় পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়।

দ্বিতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে গিয়ে দর্শনায় পৌঁছাবে ৯টা ৪০ মিনিটে এবং দর্শনা থেকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৫টায়।

আর ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের গোবরা রুটের ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল সাড়ে আটটায়। আর ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় গোপালগঞ্জে পৌঁছাবে।

এই ট্রেনগুলোর জন্যে যশোরের পদ্মবিলা স্টেশন থেকে কোটচাঁদপুর, কোটচাঁদপুর-যশোর, পদ্মবিলা-খুলনা রুটে শাটল ট্রেনের মাধ্যমে অন্য এলাকার যাত্রীদের সুবিধা দিবে রেলওয়ে।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এ রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

প্রস্তাবনায় ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে মেইল ট্রেনে ১২০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১৪৫ টাকা, আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৩৫০ টাকা, এসি চেয়ার ৬৬৭ টাকা, এসি সিট ৮০৫ টাকা ও এসি বার্থ ১২০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ভাড়ার বিষয়ে রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, এই রুটে পদ্মা সেতু আছে। অনেকগুলো ভায়াডাক্ট আছে। পদ্মা সেতুর জন্য আলাদা করে কিলোমিটার হিসেব করে ভাড়া ধরা হয়। তাই সবমিলিয়ে ভাড়া ঠিক করা হচ্ছে। যাত্রীরা স্বল্প খরচে যেতে পারবে। সময় কম লাগবে।

ঢাকা-যশোর রুটের ভাড়া হতে যাচ্ছে ৫০০ টাকা। যশোর থেকে খুলনার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার বেশি হওয়ায় ঢাকা-খুলনা ভাড়া হবে ৫৫০ টাকা।

বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তঃনগর— এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা আর আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
৫২ বার পড়া হয়েছে

ট্রেনে তিন ঘন্টার দুরত্বে ঢাকা-খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

আসছে জুলাইয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু করবে। ঢাকা-যশোর রুটের নতুন দূরত্ব দাঁড়াবে ১৭২ কিলোমিটারে। আর ঢাকা থেকে যশোর যেতে সময় লাগবে সোয়া ২ ঘণ্টা। এবং এই হিসেবে ঢাকা থেকে খুলনা ও ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। এর আগে এ রুটের যাতায়াতে ট্রেনগুলোর সময় লাগতো কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা।

চারটি রেক (ট্রেন বডি) দিয়ে মোট ৮ জোড়া ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এর মধ্যে ঢাকা-যশোর-খুলনা রুটে চারটি, ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা রুটে দুইটি, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-গোবরা রুটে একটি এবং ঢাকা-বেনাপোল রুটে একটি ট্রেন চলাচল করবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সদরদপ্তরে পাঠানো রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা-ঢাকা রুটে প্রথম ট্রেনটি খুলনা থেকে ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

অন্যদিকে ঢাকা-খুলনা রুটে প্রথম ট্রেনটি ঢাকা থেকে ৬টায় ছেড়ে খুলনায় আসবে সকাল ৯টায় এবং ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা থেকে ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

খুলনা-ঢাকা রুটে তৃতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়। আর ফিরতি ট্রেনটি রাত সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে সকালে সাড়ে দশটায়।

চতুর্থ ট্রেনটি খুলনা থেকে ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে। ঢাকা থেকে দুপুর একটায় ছেড়ে গিয়ে খুলনায় পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়।

আর ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং বেনাপোল থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।

ঢাকা-খুলনা রুটের মতো ঢাকা-দর্শনা রুটে ট্রেন থাকছে দুইটি।

ঢাকা-দর্শনা রুটে প্রথম ট্রেনটি দর্শনা থেকে সকাল সাতটায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে ১২টায় এবং ঢাকা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে দিয়ে দর্শনায় পৌঁছাবে বিকাল ৪টায়।

দ্বিতীয় ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে গিয়ে দর্শনায় পৌঁছাবে ৯টা ৪০ মিনিটে এবং দর্শনা থেকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৫টায়।

আর ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের গোবরা রুটের ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল সাড়ে আটটায়। আর ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় গোপালগঞ্জে পৌঁছাবে।

এই ট্রেনগুলোর জন্যে যশোরের পদ্মবিলা স্টেশন থেকে কোটচাঁদপুর, কোটচাঁদপুর-যশোর, পদ্মবিলা-খুলনা রুটে শাটল ট্রেনের মাধ্যমে অন্য এলাকার যাত্রীদের সুবিধা দিবে রেলওয়ে।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এ রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

প্রস্তাবনায় ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে মেইল ট্রেনে ১২০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১৪৫ টাকা, আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৩৫০ টাকা, এসি চেয়ার ৬৬৭ টাকা, এসি সিট ৮০৫ টাকা ও এসি বার্থ ১২০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ভাড়ার বিষয়ে রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, এই রুটে পদ্মা সেতু আছে। অনেকগুলো ভায়াডাক্ট আছে। পদ্মা সেতুর জন্য আলাদা করে কিলোমিটার হিসেব করে ভাড়া ধরা হয়। তাই সবমিলিয়ে ভাড়া ঠিক করা হচ্ছে। যাত্রীরা স্বল্প খরচে যেতে পারবে। সময় কম লাগবে।

ঢাকা-যশোর রুটের ভাড়া হতে যাচ্ছে ৫০০ টাকা। যশোর থেকে খুলনার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার বেশি হওয়ায় ঢাকা-খুলনা ভাড়া হবে ৫৫০ টাকা।

বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তঃনগর— এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা আর আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা। আর কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা।