ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬ তম জন্মবার্ষিকী

দুই দিনব্যাপী ‘শশি মেলা ২০২৪’ এর উদ্বোধন

মামুনর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

 

পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘শশি মেলা ২০২৪’।

 

 

উক্ত মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ দুই দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব রাকিব হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ও ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক এবং ‘শশি মেলা ২০২৪’ আহবায়ক মোঃ তরিকত ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক।

শশিভূষণ পালের যে কর্মময় জীবন, তাঁর শিল্পচর্চা, তাঁর যে শিল্পবোধ তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে তবেই শিল্পী শশিভূষণ পাল এবং তাঁর সৃষ্টিকে যথাযত সম্মান করা হবে বলে বিশ্বাস করেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ।

শিপ্লী শশিভূষণ পাল এই বাংলাদেশ ভূখন্ডে ব্যক্তি প্রচেষ্টায় প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ১৯০৪ সনে তাঁর নিজ বাড়িতে একটি গোলপাতা ঘরে। সেই থেকে আজকের এই চারুকলা অনুষদ। মাঝে পার করা সময়ের বিভিন্ন ধাপ উল্ল্যেখ করে সহযোগী অধ্যাপক তরিকত ইসলাম বলেন- শিপ্লী শশি ভূষণ পাল এর হাত ধরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রজীবন শেষ করে আজ সেখানেই শিক্ষকতা করছি। আমাদের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একটা দায় আছে এই মহৎ ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের। আমরা এই মহৎ শিল্পীর জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি বিশ্বাস করি আজ যারা ছাত্র তারাও একদিন শিক্ষক হয়ে ‘খুলনা চারুকলার প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শশিভূষণ পালের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এভাবেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে পথিকৃত শিল্পী শশিভূষণ পাল ও তাঁর শিল্প-সম্পদ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। আজকের এইদিন আমাদের শিল্পকলার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন, এমন একটি মঞ্চে দাড়িয়ে আমরা তাকে স্মরণ করতে পারছি।

আজ চারুকলা স্কুলের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে এবং সেটার সাক্ষী হতে পারার গর্বিত অনুভব ব্যক্ত করেন ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম। শিল্পী শশিভূষণ পালের শিল্পকর্মের যে সংগ্রহ তা আরো বেশি করে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারার কথা বলেন তিনি। যেন শিল্পকর্মগুলো সাধারণ মানুষ বা ছাত্রছাত্রীরা দেখতে পারে, পড়তে পারে, গবেষণা করতে পারে- সেই দ্বার’টা আরো একটু উন্মুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব রাকিব হাসান বলেন- ‘শিল্পী শশিভূষণ পাল’ উনাকে নিয়ে আমাদের জানাশোনা অনেকটা কম। আমাদের রয়েছে শশিভূষণ আর্ট গ্যালারী, যা আমরা এখনো সবার সামনে সেভাবে তুলে ধরতে পারি নাই। পৌষ সংক্রান্তিতে খুলনার মহেশ্বর পাশায় জন্ম হয়েছিলো শিল্পী শশিভূষণ পালের। আজকের এই ‘শশি মেলা’ কিছু উপলক্ষ্য, কিছু উদ্দেশ্য, কিছু স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা। হয়ত তার ধারে কাছেও যেতে পারিনি আমরা। কিন্তু শুরুটা হয়তো হয়েছে। আর যে স্বপ্ন, যে বীজ নিয়ে শুরু সেটা নিয়ে আমরা যেন ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে পৌঁছাতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
২৮৭ বার পড়া হয়েছে

চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬ তম জন্মবার্ষিকী

দুই দিনব্যাপী ‘শশি মেলা ২০২৪’ এর উদ্বোধন

আপডেট সময় ০১:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

 

পথিকৃত চিত্রশিল্পী শশিভূষণ পালের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘শশি মেলা ২০২৪’।

 

 

উক্ত মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ দুই দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব রাকিব হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ও ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক এবং ‘শশি মেলা ২০২৪’ আহবায়ক মোঃ তরিকত ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক।

শশিভূষণ পালের যে কর্মময় জীবন, তাঁর শিল্পচর্চা, তাঁর যে শিল্পবোধ তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে তবেই শিল্পী শশিভূষণ পাল এবং তাঁর সৃষ্টিকে যথাযত সম্মান করা হবে বলে বিশ্বাস করেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ।

শিপ্লী শশিভূষণ পাল এই বাংলাদেশ ভূখন্ডে ব্যক্তি প্রচেষ্টায় প্রথম শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ১৯০৪ সনে তাঁর নিজ বাড়িতে একটি গোলপাতা ঘরে। সেই থেকে আজকের এই চারুকলা অনুষদ। মাঝে পার করা সময়ের বিভিন্ন ধাপ উল্ল্যেখ করে সহযোগী অধ্যাপক তরিকত ইসলাম বলেন- শিপ্লী শশি ভূষণ পাল এর হাত ধরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রজীবন শেষ করে আজ সেখানেই শিক্ষকতা করছি। আমাদের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একটা দায় আছে এই মহৎ ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের। আমরা এই মহৎ শিল্পীর জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি বিশ্বাস করি আজ যারা ছাত্র তারাও একদিন শিক্ষক হয়ে ‘খুলনা চারুকলার প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শশিভূষণ পালের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এভাবেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে পথিকৃত শিল্পী শশিভূষণ পাল ও তাঁর শিল্প-সম্পদ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। আজকের এইদিন আমাদের শিল্পকলার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন, এমন একটি মঞ্চে দাড়িয়ে আমরা তাকে স্মরণ করতে পারছি।

আজ চারুকলা স্কুলের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে এবং সেটার সাক্ষী হতে পারার গর্বিত অনুভব ব্যক্ত করেন ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম। শিল্পী শশিভূষণ পালের শিল্পকর্মের যে সংগ্রহ তা আরো বেশি করে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারার কথা বলেন তিনি। যেন শিল্পকর্মগুলো সাধারণ মানুষ বা ছাত্রছাত্রীরা দেখতে পারে, পড়তে পারে, গবেষণা করতে পারে- সেই দ্বার’টা আরো একটু উন্মুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান জনাব রাকিব হাসান বলেন- ‘শিল্পী শশিভূষণ পাল’ উনাকে নিয়ে আমাদের জানাশোনা অনেকটা কম। আমাদের রয়েছে শশিভূষণ আর্ট গ্যালারী, যা আমরা এখনো সবার সামনে সেভাবে তুলে ধরতে পারি নাই। পৌষ সংক্রান্তিতে খুলনার মহেশ্বর পাশায় জন্ম হয়েছিলো শিল্পী শশিভূষণ পালের। আজকের এই ‘শশি মেলা’ কিছু উপলক্ষ্য, কিছু উদ্দেশ্য, কিছু স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা। হয়ত তার ধারে কাছেও যেতে পারিনি আমরা। কিন্তু শুরুটা হয়তো হয়েছে। আর যে স্বপ্ন, যে বীজ নিয়ে শুরু সেটা নিয়ে আমরা যেন ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে পৌঁছাতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো।