রাতে খোলা হয় বস্তা:: খাদ্যবান্ধব চাল পরিমাপে কম দেওয়ার অভিযোগ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মধ্যরাতে ১৫টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব চাউলের বস্তা খুলে ৩০কেজি থেকে ২৫ কেজি করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মেহেদী আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৪জন ডিলার নিযুক্ত রয়েছে। ডিলারদের অধীনে চলমান কর্মসূচিতে প্রায় ৬৫.৭৯০ মে.টান চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মহিষাবাদুরীয়া খলিলের মোড় এলাকার তালুকদার এন্টারপ্রাইজকে ৫৬৫ কার্ডধারীর বিপরীতে প্রায় ১৭ মে.টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, তালুকদার এন্টারপ্রাইজ এর ডিলার মেহেদী আলম তালুকদার। তিনি মধ্যরাতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বস্তা খুলে ৫ কেজি চাল নামিয়ে রেখে তা পুনরায় সেলাই করে কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। প্রতিটি কার্ডধারীকে ৩০কেজি চালের একটি বস্তা দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দেওয়া হয় ২৫ কেজি ওজনের বস্তা।
কম দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে কার্ডধারীরা চাল বিতরণে বাঁধা দেয়। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০কেজির দাম ৪৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর দেওয়া হচ্ছে ২৫ কেজি চাল।
এমন হট্রগোলের কথা শুনে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। পরে তার মধ্যস্থতায় ফের চাল বিতরণ শুরু হয়।
কার্ডধারীদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া, স্বপ্না, জমিলা, তাহমিনা, তাজনিন বেগম ও সাজেদা বেগম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ৩০ কেজি চালের বস্তা নিতে ডিলারকে ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়। ডিলার ৩০কেজি ওজনের বস্তা না দিয়ে ২৫ কেজি ওজনের বস্তা দিয়েছে। তারা এমন কর্মকান্ডের বিচার চান।
এবিষয়ে ডিলার মেহেদী আলম তালুকদার বলেন, শত্রুতা বশত তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগকারীদের কিছু টাকা ফেরৎ দিতে চাইলেও পরে তা দেননি বলেও জানান তিনি।
এ-ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বরাদ্দ দেওয়া বস্তা ওজন করা হয়। ওজন দেওয়ার পর কোন বস্তায় কম পাওয়া যায়নি। পরে তার উপস্থিতিতে অবশিষ্ট চাল বিতরণ করা হয়। কার্ডধারীরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।