ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যূরালের পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে মানববন্ধনে সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেয়া সহ বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে যদি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যারা মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক, তাদের চর্চা না থাকে তবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি চালু থাকবে এটা আমাদের চাওয়া। অথচ আমরা দেখতে পাই যে গত চার বছরে ছাত্ররাজনীতি না থাকায় বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে ‘কিউ আর কোড’ ব্যবহার করে মৌলবাদী গোষ্ঠী নানা জিহাদের ডাক দিয়ে যাচ্ছে, অন্ধকারে শক্তি তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে দিয়েছে।

ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিল। সেই ছাত্ররাজনীতিকে গলাচিপে হত্যা করার জন্য বুয়েট প্রশাসন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের সিট বাতিল ও বুয়েট প্রশাসন কতৃক স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেয়ায় বাধা প্রদানের প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানিয়ে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছে। ছাত্ররাজনীতি না থাকার নামে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির জন্ম হয়েছে এই বুয়েট থেকে। আমরা চাইনা এই ধারাবাহিকতা বজায় থেকে অন্ধকারের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
১১৯ বার পড়া হয়েছে

বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যূরালের পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে মানববন্ধনে সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেয়া সহ বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে যদি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যারা মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক, তাদের চর্চা না থাকে তবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি চালু থাকবে এটা আমাদের চাওয়া। অথচ আমরা দেখতে পাই যে গত চার বছরে ছাত্ররাজনীতি না থাকায় বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে ‘কিউ আর কোড’ ব্যবহার করে মৌলবাদী গোষ্ঠী নানা জিহাদের ডাক দিয়ে যাচ্ছে, অন্ধকারে শক্তি তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে দিয়েছে।

ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিল। সেই ছাত্ররাজনীতিকে গলাচিপে হত্যা করার জন্য বুয়েট প্রশাসন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের সিট বাতিল ও বুয়েট প্রশাসন কতৃক স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেয়ায় বাধা প্রদানের প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানিয়ে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছে। ছাত্ররাজনীতি না থাকার নামে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির জন্ম হয়েছে এই বুয়েট থেকে। আমরা চাইনা এই ধারাবাহিকতা বজায় থেকে অন্ধকারের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক।